যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচনে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগ ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারশিবির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে (এফইসি) যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারে সহায়তায় বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ করা হয়েছে এতে।
কয়েকটি গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, কমলার নির্বাচনী প্রচারশিবিরের সঙ্গে লেবার পার্টির যোগাযোগ রয়েছে। তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে প্রচারাভিযানে সহায়তা করছে। বিষয়টিকে বেআইনি বলে দাবি করেছে রিপাবলিকানরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির সদস্যদের প্রচারাভিযানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছে বিবিসি। তবে দলটির সদস্যরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কমলার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
যদিও এ অভিযোগের ব্যাপারে কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি লেবার পার্টি।
অভিযোগপত্রে কয়েকটি সংবাদপত্রের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কমলার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন।
ওই অভিযোগপত্রে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন রিপাবলিকান পার্টি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মধ্যে এরই মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে এবং দুই দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গোপনে দেখা করেছেন।
তবে লেবার পার্টির সহায়তার বিষয়ে কমলা-ওয়ালজের নির্বাচনী শিবির অবগত কি না, সে ব্যাপারে তাঁদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য আসেনি।
এদিকে ট্রাম্প শিবিরের অভিযোগপত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনের একটি পোস্টের উদ্ধৃতিও দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, লেবার পার্টির প্রায় ১০০ বর্তমান ও সাবেক সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে যাবেন।
লেবার পার্টির ওই পোস্টে দলটির অপারেশন হেড সোফিয়া প্যাটেল বলেন, ‘১০টি জায়গা প্রস্তুত আছে। আমরা আপনাদের বাড়িগুলো বাছাই করব।’ যদিও পরে পোস্টটি তিনি সরিয়ে নেন।
রিপাবলিকানদের এই অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৬ সালে ঘটা এ ধরনের আরেকটি ঘটনা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। ওই বছর বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী প্রচারশিবিরকে সহায়তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টিকে (এএলপি) পাঠানো হয়েছিল। এ কাজের জন্য দলটিকে বিমানভাড়া ও ভাতা দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য অবশ্য এএলপি ও বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারশিবিরের প্রত্যেককে সাড়ে ১৪ হাজার ডলার করে জরিমানা করা হয়।
মার্কিন নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্বাচনী প্রচারশিবিরে বিদেশি নাগরিকদের প্রচারণা চালানোর অনুমতি রয়েছে। তবে বিনিময়ে তাঁদের কোনো ধরনের প্রতিদান দেওয়া যাবে না।
এর আগে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টিও রিপাবলিকান দলের প্রচারশিবিরে অংশ নিয়েছিল।