অভিবাসীদের জন্য নিরাপদই থাকছে লস অ্যাঞ্জেলেস
অভিবাসন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ। দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ এ নগরের প্রশাসন নিজেদের ‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কাউন্সিল একটি ‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি’ অধ্যাদেশ পাস করেছে। নিজেদের ‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি’ ঘোষণা করার অর্থ হলো, স্থানীয় প্রশাসন থেকে কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে অভিবাসন বিষয়ে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে না।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ছিলেন। এবারও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি বেছে নিয়েছেন টম হোম্যানকে। তাঁকে ট্রাম্পের ‘সীমান্ত জার’ ডাকা হচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সরকারি স্কুলব্যবস্থাও নিজেদের ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ অবস্থান পুনর্নিশ্চিত করেছে। এর ফলে বৈধ নথিবিহীন অভিবাসীরা সরকারি স্কুলে বিনা বাধায় শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাবে।
৫ নভেম্বরের ভোটে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারলে গণহারে অবৈধ ও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করবেন।
ট্রাম্প এরই মধ্যে সীমান্ত দেখভালের জন্য বেছে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণ অভিবাসন কর্মকর্তা টম হোম্যানকে।
এক দশকের কিছু আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়। কোনো এলাকা ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ ঘোষণা করার অর্থ হলো, স্থানীয় প্রশাসন থেকে কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে খুব সামান্য সহায়তা করা হবে।
যদিও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো আইন জারি হয়নি। ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ হতে নগর কর্তৃপক্ষ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যেমন আইনে বিভিন্ন বিধি অন্তর্ভুক্ত করা বা স্থানীয় পুলিশি কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা।
‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ অধ্যাদেশ পাস হলে নগর কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পর্কে তথ্য দিতে বাধ্য থাকে না।
নগরগুলো নিজেদের ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ ঘোষণা করে ভবিষ্যৎ ট্রাম্প প্রশাসনকে তার লক্ষ্য পূরণ থেকে আটকে রাখতে পারবে না।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন ব্যাস ওই অধ্যাদেশে সই করলে এটি কার্যকর হবে।
বোস্টন ও নিউইয়র্ক সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি নগর কর্তৃপক্ষ একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বেশ কয়েকটি স্কুল নিজেদের ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ বা ‘অভয়ারণ্য’ ঘোষণা করে। শিক্ষার্থীদের বিতাড়ন আটকাতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
৫ নভেম্বরের ভোটে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারলে গণহারে অবৈধ ও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করবেন।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ছিলেন। এবারও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি বেছে নিয়েছেন টম হোম্যানকে। তাঁকে ট্রাম্পের ‘সীমান্ত জার’ ডাকা হচ্ছে। এ বিষয়ে হোম্যান বারবার বলেছেন, নগরগুলো নিজেদের ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ ঘোষণা করে ভবিষ্যৎ ট্রাম্প প্রশাসনকে তাদের লক্ষ্য পূরণে আটকে রাখতে পারবে না।
১১ নভেম্বর ফক্স টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোম্যান বলেন, ‘কেউ আমাদের “অভিবাসী অপরাধী”দের বিতাড়ন করা থেকে থামাতে পারবে না। আমরা হয় আপনাকে সঙ্গে নিয়ে অথবা আপনাকে ছাড়াই এ কাজ করতে চলেছি।’