ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ওয়াকআউট
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ডে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন (ওয়াকআউট) বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থী। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এরপর অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা যখন অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান, তখন সেখানে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্রবিক্ষোভ নিয়ে কথা বলছিলেন।
স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় ভুগছেন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিক্ষোভে উত্তাল কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে এই আয়োজন বন্ধ হতে যাচ্ছে।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রবিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, মঞ্চে রিপাবলিকান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন সবে বক্তব্য শুরু করেছেন। এর মধ্যেই গাউন-ক্যাপ পরা কিছু শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
এ বছরের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে গভর্নর গ্লেনকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ‘প্রকাশ কর, বর্জন কর—আমরা থামব না, আমরা বিশ্রাম নেব না’ বলে স্লোগান দিতে ভিডিওতে দেখা গেছে।
ক্যাম্পাসগুলোয় বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাচ্ছেন, যেন বড় বড় অনুদানে চলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়।
ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবারের বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের একজন ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিরিন হাদ্দাদ জানান, বিক্ষোভকারীরা বেশ জোরে অনবরত তালি বাজিয়েছেন। এ কারণে সেখানে গভর্নরের বক্তব্য কেউ শুনতেই পারেননি।
শিরিন জানান, অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে প্রায় দেড় শ মানুষ জড়ো হয়ে মিছিল করেন। অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেন।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থী।