যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট পড়েছে প্রায় আড়াই কোটি: রয়টার্স

আগাম ভোট দেওয়া মানুষদের কেউ সশরীর ভোট দিয়েছেন, আবার কেউ ব্যালটে ভোট দিয়ে তা ডাকযোগে পাঠিয়েছেনছবি: রয়টার্স

আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন ল্যাবের তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগাম ভোট দেওয়া মানুষদের কেউ সশরীর ভোট দিয়েছেন, আবার কেউ ব্যালটে ভোট দিয়ে তা ডাকযোগে পাঠিয়েছেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়াসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে গত সপ্তাহে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিনেই রেকর্ডসংখ্যক ভোট পড়তে দেখা গেছে।

এদিকে গতকাল বুধবার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন আয়োজিত এক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। একই দিনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় প্রচারণা চালিয়েছেন।

সিএনএনের অনুষ্ঠানে কমলা বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে তাঁর প্রশাসনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ধারাবাহিকতা থাকবে না। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, ভোটাররা বাইডেনের প্রশাসনের চেয়ে নতুন প্রশাসনের কাছে আলাদা কিছু আশা করছেন। আর এমন অবস্থায় বুধবার এ কথা বলেছেন কমলা।

সিএনএনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কমলা উচ্চ দ্রব্যমূল্য ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের অবসান হওয়ার সময় এসেছে। এ ছাড়া ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গল ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন কমলা।

জর্জিয়ায় সমাবেশে অংশ নিয়ে ট্রাম্প আগাম ভোটের প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জর্জিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়েছে। খোলাখুলিভাবে বললে, প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই রেকর্ড মাত্রায় ভোট পড়েছে। আমরা আসলেই ভালো করছি। আশা করি, আমরা আমাদের দেশের সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

বিভিন্ন জনমত জরিপে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি অঙ্গরাজ্যেই ট্রাম্প ও কমলার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এ সাতটি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়াও আছে।

রয়টার্স/ইপসোসের করা সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছেন কমলা। তিনি ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ ভোট।