ট্রাম্প আগাম জয় ঘোষণা করলে মোকাবিলায় প্রস্তুত ডেমোক্র্যাটরা
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ২০২০ সালের মতো এবারও আগাম জয় দাবি করেন, তবে তা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী শিবির ও দলীয় কর্মকর্তারা রয়টার্সকে সেই প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প এ সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁর আশা, ভোটের দিনই (মঙ্গলবার) নিজের জয়ী হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করতে পারবেন তিনি। যদিও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে। বিশেষ করে যদি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় ভোট পুনর্গণনার দাবি ওঠে।
এবারের প্রায় সব জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো নির্বাচনে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেওয়া ভোট গণনার তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা। যদিও কখনো কখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই প্রার্থীরা নিজেদের বিজয়ী দাবি করে বসেন।
এ বিষয়ে গত বুধবার এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কমলা বলেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে হলেও আমরা প্রস্তুত। যদি তিনি (ট্রাম্প) করেন (বিজয় দাবি) এবং যদি আমরা জানতে পারি, তিনি সত্যি সংবাদমাধ্যমকে চালিত করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মতামতের ওপর হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন...আমরা জবাব দিতে প্রস্তুত।’
কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কমলার নির্বাচনী শিবিরের ছয়জন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প যদি আগাম জয় ঘোষণা করেন, তবে প্রাথমিক লড়াই হবে জনগণের আদালতে। তাঁদের পরিকল্পনা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনে বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে সব ভোট গণনার জোরালো দাবি জানাবেন।
নাম প্রকাশ না করে কমলার নির্বাচনী প্রচারশিবিরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের পূর্ণ বিশ্বাস, ট্রাম্প মঙ্গলবার (ভোটের) রাতেই নিজের জয় দাবি করবেন, আর তা সব ভোট গণনা হওয়ার আগেই। তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) আগে এটা করে ব্যর্থ হয়েছেন। যদি আবারও করেন, ব্যর্থই হবেন।’
২০২০ সালে ভোটের পরদিন সকাল–সকালই নিজের জয় দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। অথচ ভোটের তিন দিন পর প্রথম টেলিভিশন নেটওয়ার্কে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্প কখনো তাঁর সেই পরাজয় মেনে নেননি; বরং এখনো দাবি করেন, ভোট কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে।