ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরত দেওয়া নিয়ে মাস্কের জরিপ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরত দেওয়া উচিত কি না, এ নিয়ে টুইটারে একটি জরিপ চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির নতুন মালিক ইলন মাস্ক। প্রাথমিক ফলাফল দেখা যায়, ৬০ শতাংশ ব্যবহারকারী ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
মাস্ক নিজের অ্যাকাউন্টে ‘ভক্স পপুলি, ভক্স দেই’ বাক্যটি টুইট করেন; যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘জনতার কণ্ঠস্বর, ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর’। এই জরিপ চলবে ২৪ ঘণ্টা।
টুইটারের নতুন মালিক মাস্ক মে মাসে বলেছিলেন, টুইটারে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত তিনি বাতিল করবেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার পর তাঁর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল।
অবশ্য দিনের শুরুতে ট্রাম্প বলেছেন, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। নিষিদ্ধ ও স্থগিত কয়েকটি বিতর্কিত অ্যাকাউন্ট ফেরত দিয়েছে টুইটার। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে ব্যঙ্গাত্মক ওয়েবসাইট বেবিলন বি এবং কৌতুক অভিনেতা ক্যাথি গ্রিফিনের অ্যাকাউন্ট।
এই প্ল্যাটফর্মে কাদের থাকা উচিত, সে বিষয়ে টুইটার ব্যবহারকারীদের নির্দেশনা চাওয়ার মাস্কের এই সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির বিশাল পুনর্গঠনের অংশ। এর মধ্যে কোম্পানিটির ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টিও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান। এ হামলায় উসকানির অভিযোগে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে টুইটারে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। টুইটারের পাশাপাশি ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামেও নিষিদ্ধ হন ট্রাম্প।
টুইটার কিনতে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার পথে গত মে মাসে মাস্ক বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটারের মালিক হওয়ার পর তিনি ট্রাম্পের ওপর থাকা এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। ট্রাম্পকে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেবেন।
অবশ্য ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, অ্যাকাউন্ট পুনর্বহাল করা হলেও তিনি আর এই প্ল্যাটফর্মে ফিরবেন না। তিনি তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ মাধ্যমে থাকবেন।
গত ২৭ অক্টোবর ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটারের মালিকানা কিনে নেন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এরপর তিনি কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবেও দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মালিকানা নেওয়ার পরপরই টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেন মাস্ক। পাশাপাশি কোম্পানির বিভিন্ন নির্বাহী পদে থাকা কর্মকর্তাসহ ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছেন তিনি। এতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।