বাইডেন–সি ফোনালাপ, কথা হয়েছে তাইওয়ান ও প্রযুক্তি নিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। গত নভেম্বরের পর এটাই তাঁদের মধ্যে সরাসরি কথা বলার ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দুই নেতার মধ্যে ‘গঠনমূলক’ আলাপ হয়েছে।
তবে গতকালের ফোনালাপে বিস্তারিত বিবরণ যুক্তরাষ্ট্র–চীনের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। কেননা সি চিন পিং তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে লাল রেখা বা রেড লাইন অতিক্রম না করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত ২১ সদস্যের এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন সি চিন পিং। এ সম্মেলনের ফাঁকে তাঁর সঙ্গে বাইডেনের সরাসরি বৈঠক হয়েছিল।
তাইওয়ান ইস্যু ও প্রযুক্তির উন্নয়নের মতো বিষয় নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে থাকার পরও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে ওই সময় প্রশংসা করেছিলেন দুই নেতা।
গতকালের ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে অনানুষ্ঠানিক ও গঠনমূলক আলাপ করেছেন। এর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় ছিল, বিরোধের বিষয়ও ছিল।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ফোনালাপে বাইডনকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুই দেশের উচিত বছরের জন্য ‘সংঘর্ষ নয়, বিরোধিতা নয়’—এমন একটি ভিত্তিমূলক নীতি (বেসলাইন পলিসি) গ্রহণ করা।
সেই সঙ্গে স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া, ঝামেলাকে উসকে না দেওয়া, সীমা অতিক্রম না করা এবং চীন–মার্কিন সম্পর্কে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সি চিন পিং, এমনটাই জানিয়েছে সিসিটিভি।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা কূটনৈতিক উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চীন সফর করার কথা রয়েছে।
এদিকে আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব এসব বৈঠকের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।