জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কঠোর হোন: কেরি
যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ুবিষয়ক দূত জন কেরি বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে আরও বেশি কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৫৫ শতাংশ তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি ধরে রাখতে খরচ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ আমরা।’
জন কেরি আরও বলেন, ‘আমরা এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, আমাদের বিশ্বাস যে আমরা গ্লাসগোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করব। দিন দিন আমাদের সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হচ্ছে। বিজ্ঞান আমাদের যে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে, সেগুলো অবশ্যই অর্জন করতে হবে।’ তার মানে আগামী ১০ বছরে কার্বন নিঃসরণে ৪৫ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। কেরি বলেন, ‘এটি একটি নির্ণায়ক দশক।’
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এর সঙ্গে খরা, বন্যাসহ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনাও বাড়ছে। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে জলবায়ু কর্মীরা যেসব সাহসী পদক্ষেপ নিতে বলছেন, সেগুলোর বিষয়ে সবাইকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটল্যান্ডে বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে নিয়ে জাতিসংঘের কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, সেখানে তাঁদের বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলা করতে এবং তরুণ জলবায়ুকর্মীদের সতর্কবাণীগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিকতা দেখাতে হবে।
কপ২৬-এর সভাপতি অলোক শর্মা গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ইতালির মিলানে প্রস্তুতিমূলক আলোচনার পর জলবায়ু বিতর্কে নতুন করে তাৎপর্য দেখা দিয়েছে। যেখানে গ্রেটা থুনবার্গসহ হাজার হাজার তরুণ জলবায়ুকর্মী সরকারকে জলবায়ুর বিপর্যয় মোকাবিলায় দেওয়া কথা রাখার আহ্বান করেছেন। বিশ্বকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মুক্তি দিতে তহবিল সংগ্রহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিলানে এক বৈঠকের পর শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে খুব গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এবং বৈঠকের কক্ষে সবাই এর গুরুত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন।’
২০১৫ সালে কপ২৬ বিশ্বের ২০০টি দেশ প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন। শর্মা বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সাহায্য করতে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।