২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মুসলিম নারীদের প্রথম ভোটাধিকার

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২১ জুলাই। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।

ভোট দিচ্ছেন মুসলিম দেশ আজারবাইজানের একজন নারী
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে নারীদের ভোটের অধিকার প্রদান করে আজারবাইজান। এ জন্য ১৯১৯ সালের ২১ জুলাই দেশটিতে একটি আইন পাস হয়। এতে বলা ছিল, দেশটিতে ২০ বছর ও তার বেশি বয়সের মুসলিম নারীরা ভোট দিতে পারবেন।

বছরজুড়ে বরফে ঢাকা থাকে অ্যান্টার্কটিকা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

তাপমাত্রা নামে মাইনাস ৮৯ ডিগ্রিতে

ঘটনাটি অ্যান্টার্কটিকার। সারা বছর এই মহাদেশের তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। বরফে ঢেকে থাকে পুরো অ্যান্টার্কটিকা। তবে ১৯৮৩ সালের এই দিনে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা অনেক বেশি কমে গিয়েছিল। অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গবেষণাকেন্দ্র ‘ভস্তক’ ওই দিন মাইনাস ৮৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড এটি।

কাজ শেষ হয় বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথের

বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে
ছবি: এএফপি

ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে-বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ হিসেবে পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ হাজার ২৮৯ কিলোমিটার বা ৫ হাজার ৭৭২ মাইল। পশ্চিমে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে পূর্বে ভ্লাদিভস্তক পর্যন্ত এই রেলপথ বিস্তৃত। টানা ১০ বছর ধরে চলে এই রেলপথের নির্মাণকাজ। অবশেষে ১৯০৪ সালের এই দিনে কাজ শেষ হয়। ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয় বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এই রেলপথ।

পেশিশক্তিতে বিশ্ব পরিভ্রমণ

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযাত্রী আরডেন ইরাক। জীবনে দারুণ এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তিনি। মানুষের পেশিশক্তি কাজে লাগিয়ে বিশ্ব পরিভ্রমণ করেছিলেন তিনি। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বোডেগা বে সাগরে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে তাঁর এই যাত্রা শেষ হয়। তিনি পাড়ি দেন প্রায় ৬৬ হাজার ২৯৯ কিলোমিটার বা ৪২ হাজার ১৯৬ মাইল পথ। তবে এ পথে তিনি কোনো যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহার করেননি। চড়েননি কোনো যানবাহনে। বরং আরডেন তাঁর যাত্রাপথে হেঁটেছেন। সাইকেল চালিয়েছেন। প্রয়োজনে জলপথ পাড়ি দিয়েছেন কায়াক ও ক্যানয় (ইঞ্জিনবিহীন ছোট নৌকা) চালিয়ে।