কলকাতার নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে, সেই ফ্ল্যাট থেকে দুজনকে স্যুটকেস নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। তাঁরাই আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে রক্তের দাগ পেয়েছিল পুলিশ। তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আনোয়ারুলকে হত্যা করে তাঁর দেহ কেটে টুকরা টুকরা করে কলকাতা শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়েছে।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য ১২ মে কলকাতায় গিয়ে তাঁর এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন। পরদিন দুপুরে ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঢাকা ও কলকাতার পুলিশ বলছে, ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসিক এলাকা সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ওই ফ্ল্যাটে যান আনোয়ারুল আজীম। সে রাতেই তাঁকে হত্যা করা হয়।
ফ্ল্যাটটির বাইরে থেকে ধরা পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দুই ব্যক্তিকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তাঁদের একজনের হাতে বড় একটি স্যুটকেস দেখা যায়। আর অন্যজনের হাতে রয়েছে কয়েকটি প্ল্যাস্টিক ব্যাগ।
আনোয়ারুল আজীমকে হত্যায় জিহাদ হাওলাদার নামের এক অবৈধ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর তাঁর দেহ টুকরা টুকরা করা হয়। পরে তা প্ল্যাস্টিক ব্যাগে ভরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
জিহাদ হাওলাদার বলেছেন, তিনি পেশায় কসাই। আনোয়ারুল আজীমের দেহ খণ্ডবিখণ্ড করতে আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি তাঁকে ভাড়া করেছিলেন।
আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আনোয়ারুল আজীম এক নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করছেন। ওই নারীর নাম শিলাস্তি রহমান। আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। তাঁকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ধারণা, ঘাতকদের কোনো একজনের পরিচিত শিলাস্তিকে ব্যবহার করে সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে ফাঁদে ফেলা হতে পারে।