দুর্নীতির দায়ে পেরুর প্রেসিডেন্টের বিদায়
পেরুর কংগ্রেস দুর্নীতির অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারাকে অভিশংসিত করেছে। এতে আন্দিয়ান জাতির মধ্যে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্টিন ভিজকারা বলেছেন, তিনি কংগ্রেসের ভোট মেনে নেবেন। এর মোকাবিলায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন না।
গতকাল সোমবার লিমায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ভিজকারা বলেন, ‘আজ আমি প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ছেড়ে যাচ্ছি। আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
কংগ্রেসের প্রধান ম্যানুয়েল মেরিনো আজ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে পারেন। ভিজকারার মেয়াদ ২০২১ সালের জুলাই অবধি তিনিই (মেরিনো) দায়িত্ব সামলাবেন।
মেরিনো নিশ্চিত করেছেন, ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্টের ভোট হবে। তত দিন পর্যন্ত সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির স্থানীয় টেলিভিশনে মেরিনো বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিয়েছি।’
দেশটির আইনপ্রণেতারা কয়েক মাস ধরেই মার্টিন ভিজকারার অভিশংসনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন। দেশটির কংগ্রেসে বিরোধী দলের আধিপত্য বেশি থাকায় ১৩০ ভোটের মধ্যে ১০৫ ভোট ভিজকারার বিপক্ষে গেছে। তাঁকে অভিশংসনের জন্য ৮৭ ভোট যথেষ্ট ছিল।
মার্টিন ভিজকারা তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি গতকাল সোমবার অভিশংসনের আগে সতর্ক করে বলেছিলেন, তাঁকে অভিশংসন করা হলে অপ্রত্যাশিত পরিণতি দেখতে হবে। আগামী নির্বাচনে ভিজকারা অংশ নিতে পারবেন না।
মার্টিন ভিজকারার অভিশংসনের প্রতিবাদে তাঁর সমর্থকেরা লিমায় প্লাজা স্যান মার্টের সামনে জড়ো হন। পুলিশ তাঁদের ওপর কড়া নজর রাখছে।
পেরুর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫৭ বছর বয়সী পেরুর প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা। খণ্ডিত কংগ্রেসে তাঁর পক্ষের লোক ছিল না এবং আইনপ্রণেতাদের সঙ্গেও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।