জ্বালানি ও সুপেয় পানির সংকটে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ
ভেনেজুয়েলায় গত কিছুদিনে দেশজুড়ে অসংখ্য বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, দেশটিতে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলায় সম্প্রতি ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে। এর ওপর আছে জ্বালানি ও সুপেয় পানির সংকট। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে এখন বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো প্রয়োজনীয় রসদের সরবরাহ কারাকাসে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, সরকার যেহেতু কারাকাসভিত্তিক, তাই আগে সেখানকার চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করার অনেক কারণ আছে। তবে মূল কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে, অনবরত লোডশেডিং ও সুপেয় পানির সরবরাহ স্বল্পতা। সেই সঙ্গে পেট্রল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহও অপর্যাপ্ত হয়ে উঠেছে। অনেকে বলছেন, কিছু স্থানীয় সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকার পূরণ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য ভেনেজুয়েলার কিছু এলাকায় অন্যান্য দাবিতেও মানুষ রাস্তায় নেমেছে। কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা বেতনের দাবি জানিয়েছে। আবার কোনো কোনো হাসপাতালের রোগীরা ভালো স্বাস্থ্যসেবার পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই ভেনেজুয়েলা জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারির এই দিনে এসব সংকট আরও প্রচণ্ড হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এর প্রতিক্রিয়াতেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। আবার ভেনেজুয়েলার বর্তমান সংকটের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকেও দায়ী করছেন অনেকে।
অবশ্য ভেনেজুয়েলা সরকারের পক্ষ থেকে এসব ঘাটতির বিষয় স্বীকার করা হয়নি। তবে গতকাল মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, দেশটির তেল খাত পুরোপুরি ধসে গেছে। তাঁর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে এই খাতে। তবে নিজের বক্তব্যে সাম্প্রতিক জনবিক্ষোভের বিষয়ে একটি কথাও বলেননি মাদুরো।