কানাডায় দাবানল: স্থানীয়দের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ
ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে কানাডা।তীব্র তাপপ্রবাহ ও দাবানলে বিপর্যস্ত কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার পর্যন্ত প্রদেশে ১৭৬টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ৭৬টি গত দুই দিনে সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার দাবানল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা।
শনিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার থম্পসন-নিকোলা রিজিওনাল ডিসট্রিক্টের বাসিন্দাদের দ্রুত ঘরবাড়ি ছাড়তে নয়টি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে এলাকা খালি করার চারটি সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। থম্পসন-নিকোলা রিজিওনাল ডিসট্রিক্টে ১১টি মিউনিসিপ্যালিটি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লিটন গ্রামে দেশটির সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এরপরই শুরু হয় ভয়াবহ দাবানল। এর জের ধরে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
দাবানলের ভয়াবহতার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিটনের নেশন অ্যাক্টিং চিফ জন হাউগেন বলেন, ‘আগুনে সবকিছু ধ্বংস হয়েছে।’
দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং শহরগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর উড়োজাহাজসহ নানা সহায়তা প্রস্তুত রেখেছে দেশটির সরকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিৎ সজ্জন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় হেলিকপ্টার ও পরিবহন উড়োজাহাজের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সহায়তার জন্য অ্যালবার্টা প্রদেশের অ্যাডমন্টনে ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
গত ২৫ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ৭১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিফ লিসা লাপোইন্তে। একই সময়সীমায় স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় এ মৃত্যু অনেক বেশি বলে জানান তিনি। এর জন্য চরম আবহাওয়াকে দায়ী করেছেন তিনি।
লিসা লাপোইন্তে বলেন, মৃতদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তাঁরা নিজ বাসায় একাকী ছিলেন। এমনকি বাসাগুলোতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও কম ছিল।