ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ: ‘আমার মেয়ে মারা গেছে, আমার হারানোর আর কিছু নেই’

রাজধানী কারাকাসে গতকাল শনিবার ভেনেজুয়েলার বিরোধী জোটের সমাবেশে লাখো মানুষ অংশ নেন। ১৭ আগস্ট, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

গত মাসের বিতর্কিত নির্বাচনের পর নিজেদের সমর্থিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জয় দাবি করে এখনো বিক্ষোভ করে চলেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী জোট। গতকাল শনিবার দেশজুড়ে বিভিন্ন নগরীতে বিরোধী জোটের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন।

গত ২৮ জুলাই ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। টানা তৃতীয় মেয়াদে আরও ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হন তিনি।

ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলগুলোর জোট বলছে, ভোটে করাচুপি করা হয়েছে। তাদের সমর্থিত প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ ‘৬৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন’।

ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই তা প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী জোট বিক্ষোভ করছে।

বিক্ষোভকারীদের শক্ত হাতে দমন করার কৌশল গ্রহণ করেছেন মাদুরো। বিক্ষোভ দমনে তিনি পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করেছেন।

গত ২৯ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার ৪০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন।

নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানী কারাকাসে গতকাল শনিবার ভেনেজুয়েলার বিরোধী জোটের সমাবেশে যোগ দেন তাদের নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ১৭ আগস্ট, ২০২৪
ছবি: রয়টার্স

গতকাল শনিবার রাজধানী কারাকাসের পূর্বাঞ্চলে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হন। ভিড়ের ঠিক মাঝখানে একটি ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে বিরোধী জোটের নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা যাচাইয়ের দাবি জানান।

তিনি সমর্থকদের সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, ‘জনগণের আওয়াজের ওপর আর কিছু নেই এবং জনগণকে কথা বলতে হবে। আমরা সড়ক ছাড়ব না।’

গতকালের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫২ বছরের নোরাইমা রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে সবচেয়ে খারাপটা দেখে ফেলেছি, আমাদের আর ভয় নেই। আমার মেয়ে মারা গেছে। কারণ, ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিল না। আমার হারানোর কিছু নেই। কিন্তু আমি আমার নাতি-নাতনিদের জন্য একটি ভবিষ্যৎ চাই।’

কারাকাস ছাড়াও ভ্যালেন্সিয়া, সান ক্রিস্টবাল ও বারকুইসিমোতো শহরে শত শত বিক্ষোভকারী জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেছেন।

আরও পড়ুন