ভোটের ফলাফলের অপেক্ষায় ভেনেজুয়েলা
ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবার ফলাফলের অপেক্ষা। নিজের তৃতীয় মেয়াদের জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো।
গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৪টা) ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও সময় পার হওয়ার পরও ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের লাইন থাকলে তাঁদের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
১১ বছর ধরে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ এডমান্ডো গঞ্জালেজ। সাবেক এই কূটনীতিক এবার বিরোধী দলগুলোর জোটের সমর্থন পেয়েছেন।
ভোটে প্রতারণা হতে পারে, এ আশঙ্কায় বিরোধী জোট থেকে ভোট গণনার সময় নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রগুলোতে সমর্থকদের সতর্ক অবস্থায় থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভোটের আগে জনমত জরিপগুলোতে মাদুরোর থেকে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ।
রাজধানী কারাকাসের উপকণ্ঠের দারিদ্র্যপীড়িত শহর পেতারের একটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের মধ্যে একই মনোভাব দেখা গেছে। সেখানে অনেক ভোটার বলেছেন, দেশে পরিবর্তন আনতে তাঁরা ভোট দিতে এসেছেন।
২০১৩ সালে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় আসেন মাদুরো। তাঁর আমলে দেশটিতে মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেয়, জিডিপি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যায়। উন্নত জীবনের আশায় দেশটির ৭৭ লাখের বেশি মানুষ পালিয়ে অন্য দেশে চলে যান।
২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাদুরো। যদিও ওই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। সেবার পক্ষপাতমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ হিসেবে দেশটির বিরোধীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন বিভিন্ন পর্যবেক্ষকেরা। সেবার ভোটার উপস্থিতিও অনেক কম ছিল।
সেই নির্বাচনে মাদুরো ৬৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন। এবারও ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রতারণা হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন বিরোধীরা।