বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে কূটনৈতিক চাপে মাদুরো
ভেনেজুয়েলায় বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে বিরোধী প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে চাপ দিচ্ছে ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও মেক্সিকো সরকার। গতকাল শুক্রবার একটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। এরই মধ্যে, বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের সরকার মাদুরোর বিজয়ী হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধীদের জনপ্রিয় নেতা মারিয়া কারিনা মাচাদো। গঞ্জালেজের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। লাতিন আমেরিকার বাম নেতৃত্বাধীন ওই তিন দেশের সরকারের চাওয়া, মাচাদোকে ছাড়াই এডমান্ডো গঞ্জালেজ ও মাদুরোকে বৈঠকে বসতে হবে।
সমালোচকেরা বলছেন, ভেনেজুয়েলার নির্বাচন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিএনই) মাদুরো ও তাঁর দলকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে গত রোববারের ভোটে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। ভোটের ফলাফলে বলা হয়, ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মাদুরো। আর গঞ্জালেজ ৪৬ শতাংশ ভোট।
এদিকে বিরোধী দল, বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থার দাবি সত্ত্বেও ভেনেজুয়েলার নির্বাচন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভোটের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব প্রকাশ করেনি। গত সোমবারের পর থেকে তাদের ওয়েবসাইটও বন্ধ। কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি হ্যাক করা হয়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি তারা।
ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টরা সাধারণত মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভিবাসী সংকট ঠেকাতে এবার তাঁরা মুখ খুলেছেন। পুঙ্খানুপুঙ্খ ভোটের হিসাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়াকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে নিকোলা মাদুরোর জয় প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
২০১৩ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬১ বছর বয়সী সমাজতন্ত্রী মাদুরো। এ সময় দেশটির জিডিপি ৮০ শতাংশ কমেছে। এতে ৩ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভেনেজুয়েলার ৭০ লাখের বেশি নাগরিককে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে হয়েছে।
মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে প্রকাশিত বিতর্কিত ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল ভেনেজুয়েলা। চলমান বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানান বিরোধীদলীয় নেতা মাচাদো। এ ছাড়া হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।