ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্টপ্রার্থী গুলিতে নিহতের পর জরুরি অবস্থা জারি
লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও গুলিতে নিহত হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
একই সঙ্গে দেশটির জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ফার্নান্দো হত্যার ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) সহায়তা চেয়েছে ইকুয়েডর।
স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে গুলিতে নিহত হন ফার্নান্দো (৫৯)। এ সময় তিনি নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন।
একসময় শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত ইকুয়েডরে মাদক পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধ-সংক্রান্ত সহিংসতা বাড়ছে। দেশটির আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি যে অবনতিশীল, তার সবশেষ প্রমাণ ফার্নান্দোর নিহত হওয়ার ঘটনা।
স্থানীয় সময় গতকাল ইকুয়েডরে দুই মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো।
গুইলারমো লাসো বলেন, ফার্নান্দো হত্যার ঘটনা তদন্তে এফবিআইয়ের সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। ইকুয়েডর সরকারের এই অনুরোধ এফবিআই গ্রহণ করেছে। এফবিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল শিগগির ইকুয়েডরে আসবে।
ইকুয়েডরের পুলিশ জানিয়েছে, ফার্নান্দো হত্যার ঘটনায় ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই কলম্বিয়ার নাগরিক।
এ ছাড়া এক সন্দেহভাজন খুনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তিও কলম্বিয়ার নাগরিক।
ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা বলেন, ফার্নান্দোকে যাঁরা হত্যা করেছেন, তাঁরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তবে ঠিক কোন চক্রটি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
সাবেক সাংবাদিক ফার্নান্দো একজন মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি দেশটির মুভিমিয়েন্তো কনস্ট্রুয়ে দলের নেতা ছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান ছিল দৃঢ়।
২০ আগস্ট ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হওয়ার কথা। এই ভোটের আট প্রার্থীর একজন ছিলেন ফার্নান্দো।