কলম্বিয়ায় হামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
কলম্বিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে বিস্ফোরক হামলায় আট পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। খবর রয়টার্সের।
এম-১৯ গেরিলার সাবেক সদস্য পেত্রো গত জুনের নির্বাচনে বিজয়ী হন। বামপন্থী ইএলএন বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ‘পুরোপুরি শান্তি’ অর্জনের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে সাবেক ফার্ক গেরিলা যোদ্ধাদের সঙ্গে ২০১৬ সালে সম্পাদিত শান্তি চুক্তি প্রয়োগের কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট। তবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বিদ্রোহীরা। কম সাজার বিনিময়ে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর আত্মসমর্পণের বিষয়ে তারা দর-কষাকষি করছে।
টুইটারে পেত্রো লিখেছেন, ‘হুইলার সান লুইসে বিস্ফোরক ব্যবহার করে চালানো হামলা আমি অত্যন্ত জোরের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি। এসব কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টে স্পষ্ট নাশকতা। ঘটনাটি তদন্তে কর্তৃপক্ষকে আমি ওই এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়িটি বিস্ফোরকের সঙ্গে ধাক্কা খেলে বিস্ফোরণে তাঁরা নিহত হন।
হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করেননি পেত্রো। তবে বর্তমানে বিলুপ্ত রেভল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া (ফার্ক) বিদ্রোহীদের কথিত ভিন্নমতাবলম্বীরা ওই এলাকায় সক্রিয় বলে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীগুলো তাদের সাবেক নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্পাদিত শান্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের সঙ্গে ২ হাজার ৪০০ যোদ্ধা রয়েছেন।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন নামকরা ভিন্নমতাবলম্বী কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ভেনেজুয়েলা সীমান্তের ওপারে লড়াইয়ে নিহত হন।
কলম্বিয়ায় বামপন্থী গেরিলা, ডানপন্থী মিলিশিয়া এবং মাদক চোরাকারবারি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাত চলে আসছে। এই সংঘাতে দেশটিতে ১৯৮৫ থেকে ২০১৮ সাল নাগাদ ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।