৬০ বছর বয়সে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল আলেহান্দ্রার
আলেহান্দ্রা রদ্রিগেজ পেশায় আইনজীবী ও সাংবাদিক। বাড়ি লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়। বয়স ৬০ বছর ছুঁয়েছে। এই বয়সেও বুয়েনস এইরেসের মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। স্বপ্ন ছিল চলতি বছর অনুষ্ঠেয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। কেননা মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনা প্রতিযোগিতায় আর খেতাব জিততে পারলেন না তিনি।
আঞ্চলিক পর্যায়ের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জেতার পর জাতীয় পর্যায়ে হেরে গেলেও হতাশ নন আলেহান্দ্রা। তিনি বলেন, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাঁর এ অসাধারণ যাত্রা বয়স্ক নারীদের নিয়ে ‘সমাজের মনোভাব বদলে ফেলার প্রথম পদক্ষেপ’।
গত এপ্রিলে প্রথম বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনাম হন আলেহান্দ্রা। ওই সময় তিনি মিস ইউনিভার্স বুয়েনস এইরেসে খেতাব জেতেন। এত বয়স্ক একজন নারীর সুন্দরী প্রতিযোগিতায় খেতাব জয়ের খবর এর আগে পাওয়া যায়নি। তাই বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলোয় আগ্রহের কেন্দ্রে আসেন আলেহান্দ্রা।
জানা যায়, ১৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৩৪ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিস ইউনিভার্স বুয়েনস এইরেসের খেতাব জিতে নেন আলেহান্দ্রা। আগামী সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মূল আসরে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
এ জন্য গত শনিবার জাতীয় পর্যায়ে মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন আলেহান্দ্রা। তবে এই আয়োজনে ‘সেরা মুখ’ শাখায় খেতাব জিতেছেন তিনি। এরপর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন আসছে, এটার প্রথম পদক্ষেপ ছিল আমার এই যাত্রা।’
আগে ২৮ বছরের বেশি বয়সী নারীরা মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন না। গত বছর এই নিয়মে পরিবর্তন আনে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। তুলে দেওয়া হয় বয়সসীমা।
এ ছাড়া প্রতিযোগীদের যোগ্যতার মাপকাঠির পুরোনো অনেক বিধিনিষেধে পরিবর্তন আনে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় সন্তানের মা, বিবাহিত, বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে—এমন অনেক নারী এখন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছেন।