ইকুয়েডরে কারাগারে সহিংসতায় নিহত ১১৬
ইকুয়েডরে কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুয়ায়েকুইল শহরে অবস্থিত কারাগারে প্রতিপক্ষ গ্যাংয়ের কয়েদিদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতায় অন্তত ১১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮০ জনের বেশি কয়েদি।
ইকুয়েডরের ইতিহাসে কারাগারে সংঘটিত সহিংসতায় আগে কখনো এত কয়েদি হতাহত হননি।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার গুয়ায়েকুইল শহরে অবস্থিত কারাগারে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন কয়েদিকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়। অন্যরা গুলিতে নিহত হন।
দেশটির পুলিশের কমান্ডার ফাউস্তো বুয়েনানো জানান, সহিংসতার সময় কয়েদিরা গ্রেনেডও ছুড়ে মারেন।
কারাগারে সংঘটিত এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৪০০ পুলিশ মোতায়েন করতে হয়।
বৈশ্বিক মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত অনেক কয়েদি গুয়ায়েকুইল শহরের এ কারাগারে রয়েছেন বলে জানা যায়।
ইকুয়েডরের কারা বিভাগের পরিচালক বলিভার গার্জন স্থানীয় একটি রেডিওকে বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।
বলিভার আরও বলেন, তবে এখন কারাগারের পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু তার আগে কারাগারের ভেতরে গুলি, বিস্ফোরণসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর কারাগারের ভেতরে আরও অনেকের লাশ পাওয়া যায়।
কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আগেও ইকুয়েডরে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এমন সংঘাতে ৭৯ জন কয়েদি নিহত হন।
গুয়ায়েকুইল ইকুয়েডরের প্রধান বন্দর নগর। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে উত্তর আমেরিকায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক চোরাচালানের ক্ষেত্রে এ বন্দর একটি বড় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।