টুইটারে আত্মহত্যা প্রতিরোধমূলক ফিচারটি আবারও ফিরল
আত্মহত্যা রোধসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগাযোগের নম্বর-সংবলিত ফিচারটি পুনর্বহাল করেছে টুইটার। কিছুসংখ্যক ব্যবহারকারী এবং ভোক্তাদের নিরাপত্তায় কাজ করা সংগঠনগুলোর চাপের মুখে ফিচারটি আবারও টুইটারে দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের
একটি ব্যানারে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘দেয়ার ইজ হেলপ’ লেখা ফিচারটি টুইটারে যুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন দেশের মানসিক স্বাস্থ্য, এইচআইভি, টিকা, শিশু যৌন নিপীড়ন, কোভিড-১৯, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ নম্বর দেওয়া ছিল।
সম্প্রতি ফিচারটি টুইটার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে উল্লেখ করে গত শুক্রবার রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। টুইটারের এ পদক্ষেপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই দুই ব্যক্তি বলেছিলেন, টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের নির্দেশে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর টুইটারের আস্থা ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান এলা ইরউয়িনও নিশ্চিত করেন ফিচারটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে রয়টার্সের কাছে পাঠানো ই-মেইলে এ পদক্ষেপকে সাময়িক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফিচারটি সরিয়ে ফেলা নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
শুরুতে এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি না হলেও রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের ১৫ ঘণ্টার মাথায় ইলন মাস্ক একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মিথ্যা কথা। এটি এখনো আছে।’
ব্যবহারকারীদের সমালোচনার জবাবে তিনি আরেকটি টুইটে লিখেছিলেন, ‘টুইটার আত্মহত্যা ঠেকায় না।’
তবে গতকাল শনিবার থেকে ফিচারটি আবারও টুইটারে ফিরে এসেছে। ওই ফিচার থেকে এইচআইভি-এর মতো কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এ নিয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ইরউয়িনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।