কানাডার দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ভেসে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, জাহাজের এই টুকরা আজকালকার নয়। এটি ১৮ শতকের কোনো জাহাজের ভাঙা টুকরা। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, প্রায় ২০০ বছর আগের কোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ এটি।
জে টি চিজম্যান প্রভিন্সিয়াল পার্কের বাসিন্দারা কেপ রের কাছে উপকূলে পানিতে পুরোনো জাহাজের কাঠের টুকরাটি পেয়েছিলেন।
নিকর ফটোস নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক কোরে পার্চেস অস্বাভাবিক জাহাজের এই টুকরা পাওয়ার কথা শুনে উপকূলে ছুটে যান। সেখানে তিনি ওই ধ্বংসাবশেষের ড্রোন ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেটি তিনি ইউটিউবে পোস্ট করেন।
পার্চেস সল্টওয়্যারকে বলেন, ‘আমি যা চিন্তা করেছিলাম, ধ্বংসাবশেষটি তার চেয়ে অনেক বড়। আমার মনে হয়েছে, জাহাজের ওই ধ্বংসাবশেষের আমরা অর্ধেকটা দেখতে পেয়েছি। কারণ, দেখে মনে হচ্ছিল এ অংশটি ভেঙে গেছে।’
নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডরের জাহাজের ধ্বংসাবশেষ রক্ষণাবেক্ষণ সোসাইটির সভাপতি নেইল বার্জেস ইউটিউবে পার্চেসের পোস্ট করা ভিডিওটি দেখেছেন।
বার্জেস বলছেন, এই ধ্বংসাবশেষ নিয়ে এখনই সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ছবি ও ড্রোনে তোলা ছবি দেখে মনে হচ্ছে, জাহাজের এই ধ্বংসাবশেষ ১৮ শতকের।
বার্জেস বলছেন, ‘এটি যদি ওক কাঠ বা বিচগাছের কাঠ হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এই জাহাজ নিউফাউন্ডল্যান্ডে তৈরি হয়নি। মনে হচ্ছে এই জাহাজ ইউরোপের তৈরি। কেপ রে বা এর আশপাশে কোনো জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল কি না, আমরা সেটা খুঁজে বের করতে ডেটাবেজে অনুসন্ধান করছি।’
পার্চেস বলেন, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখে মনে হচ্ছে, এটি এক শ বছরের বেশি সময় ধরে মাটিতে চাপা ছিল। গত বছরের হারিকেন ফিওনা বা অন্য কোনো ঘূর্ণিঝড়ে এর ওপরের মাটি সরে যেতে পারে।