সাবেক স্ত্রী রেহাম বললেন, ইমরানের বুদ্ধি ছাড়া সবই আছে

ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান
ছবি: টুইটার

রাজনৈতিক জীবনে এমন অনিশ্চয়তার মুখে আগে কখনো পড়েননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী রোববার তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। গদি হারাতে পারেন তিনি। এমন দুঃসময়ে সাবেক স্ত্রী রেহাম খানের কাছ থেকেও ভর্ৎসনা কুড়াচ্ছেন ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান।

ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। এই ভাষণে তিনি কূটনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরানের সাবেক স্ত্রী রেহামও।

গতকাল এক টুইটে রেহাম বলেন, বুদ্ধি ছাড়া এই লোকটার সবই আছে।
ইমরানকে উদ্দেশ করে গতকাল আরেক টুইটে রেহাম বলেন, ‘হ্যাঁ, আপনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তখন পাকিস্তান অত্যন্ত ভালো ছিল।’

রেহাম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তির ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন।

ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রেহাম। পেশায় সাংবাদিক রেহামকে ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন ইমরান। এক বছরের মাথায় পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।

গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাঁর সরকার উৎখাতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তার প্রমাণ হিসেবে একটি দেশের পাঠানো ‘হুমকির চিঠির’ কথা উল্লেখ করেন ইমরান। এ সময় তিনি মুখ ফসকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলে ফেলেন।

পরক্ষণেই কথা ঘোরানোর চেষ্টা করেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘না, যুক্তরাষ্ট্র নয়, আমি বলতে চাইছি, চিঠিটি অন্য কোনো দেশ থেকে এসেছে।’

মূলত ইমরানের এই বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে তাঁর বুদ্ধি সম্পর্কে রেহাম টুইট করেন। তাঁর টুইটের মন্তব্যে অনেককেই হাসির ইমো দিতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার ইমরানকে বিয়ে করায় রেহামকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে কূটনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রী ইমরনাকে পাকিস্তানের ‘নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে দেশকে নিশানা বানিয়েছেন ইমরান।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরানে বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। এই প্রস্তাবের ওপর গতকালও জাতীয় পরিষদে আলোচনা শুরু করা যায়নি। অধিবেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় তা আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

আগামী রোববারই জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ভোটের যে হিসাব, তাতে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন ইমরান।

জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন। জিও নিউজের হিসাব অনুযায়ী, বিরোধীদের হাতে আছে ১৯৯ ভোট। অন্যদিকে ইমরানের পক্ষে আছে ১৪২ ভোট।