‘ষড়যন্ত্রে’ জড়িত মার্কিন কূটনীতিকের নাম জানালেন ইমরান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছিলেন। একপর্যায়ে তিনি মুখ ফসকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলে ফেলেন। এবার তিনি এই ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ জড়িত মার্কিন কূটনীতিকের নাম সরাসরি জানালেন।
গতকাল রোববার ইমরান দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ডোনাল্ড লু সেই ব্যক্তি, যিনি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত। আজ সোমবার পাকিস্তানের দ্য ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গতকাল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতাদের এক বৈঠকে ইমরান বলেন, বিরোধীদের দিয়ে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকার পতনের লক্ষ্যে যে বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তাতে জড়িত ছিলেন ডোনাল্ড লু।
ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গতকাল দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি নাকচ করে দেন। তারপরই পিটিআই নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান।
ইমরানের সুপারিশে গতকালই পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর অর্থ, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে নতুন নির্বাচন হতে হবে। এর মধ্য দিয়ে ইমরান তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ঠেকিয়ে দিলেন। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলো।
ইমরানের দাবি, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ইসলামাবাদকে হুমকির বার্তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইমরানের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড লু। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ডোনাল্ড লু সতর্ক করে আসাদ মজিদকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরান টিকে গেলে তার প্রভাব দেখা যেতে পারে।
ইমরান দাবি করেন, তাঁর কাছে তথ্য রয়েছে যে পিটিআইয়ের পক্ষত্যাগী নেতারা ঘন ঘন মার্কিন দূতাবাসে গেছেন।
ইমরান প্রশ্ন রাখেন, ‘যাঁরা আমাদের দল ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁরা গত কয়েক দিন কেন ঘন ঘন মার্কিন দূতাবাসের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন?’
গতকাল টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইমরান বলেন, পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে বিদেশি হস্তক্ষেপ হয়েছে।
ইমরানের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইমরানের বিরোধীরাও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।