তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে নাম চেয়ে ইমরান-শাহবাজকে প্রেসিডেন্টের চিঠি
পাকিস্তানে নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে সুপারিশ চেয়ে সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতাকে চিঠি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে আজ সোমবার জিও নিউজ জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদি তিন দিনের মধ্যে দুই রাজনীতিক একমত হয়ে একজনের নাম সুপারিশ করতে না পারেন, তাহলে উভয়ই দুটি করে নাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত পার্লামেন্টারিয়ান কমিটিতে প্রেরণ করবেন।
জাতীয় পরিষদ ও সিনেটের আট সদস্য নিয়ে এই পার্লামেন্টারি কমিটি গঠন করবেন জাতীয় পরিষদের স্পিকার। সরকার ও বিরোধী দল থেকে সমানসংখ্যক সদস্য এ কমিটিতে থাকবেন।
তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগপর্যন্ত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। গতকাল রোববার মধ্যরাতের পর তাঁকে এ দায়িত্ব দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট সচিবালয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরানের দায়িত্ব অবসানের কথা জানিয়ে বিবৃতি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে। তাদের অধীন ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর রোববার জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে তা ডেপুটি স্পিকার নাকচ করে দেন। তবে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ঘোষণা দিয়ে আদালতে গেছে বিরোধীরা। এ বিষয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর রাষ্ট্রদ্রোহে’র অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ। অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের জন্য ইমরান ও তাঁর সহযোগী ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।