ইমরানের স্ত্রীর বান্ধবীর হাতব্যাগের দাম ৭৮ লাখ টাকা!
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খানের হাতব্যাগের দাম ৯০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮ লাখ টাকার বেশি। বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল এমন দাবি করেছেন। খবর জিয়ো নিউজের।
ফারাহ খানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এ দাবি করেন মিফতাহ ইসমাইল। বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফারাহ খান ইতিমধ্যে দুবাই চলে গেছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জিয়ো নিউজ জানিয়েছে।
একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মিফতাহ ইসমাইল। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসিও উপস্থিত ছিলেন। সে সময় মিফতাহ ইসমাইল বলেন, ফারাহ খান সম্পর্কে পিএমএল-এন এখন যা বলছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ত্যাগ করা নেতা আলিম খান তাঁর সম্পর্কে আগে একই কথা বলেছিলেন।
এই পিএমএল-এন নেতা অভিযোগ করেন, পাঞ্জাবে সরকারি কর্মকর্তাদের বদলিতে ফার্স্ট লেডির এই ঘনিষ্ঠ সহযোগী ‘ঘুষ নিতেন’। কোথায় যেত সেই অর্থ? এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, পিটিআই দাবি করে আসছে, ফারাহ খান দুর্নীতি করতে পারেন না, কারণ তিনি সরকারি কর্মকর্তা বা দলীয় পদধারী ব্যক্তি নন। মিফতাহ ইসমাইল বলেন, ‘ফারাহ খান দুর্নীতিতে জড়াতে পারেন, কারণ তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের স্ত্রীদের বান্ধবী। তিনি কেউ একজনের যোগাযোগের মাধ্যম।’
মিফতাহ ইসমাইল বলেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে অনেক দামি একটি ব্যাগসহ ফারাহ খানকে দেখা যাচ্ছে। মিফতাহ ইসমাইলের দাবি, ‘পাঞ্জাব সরকারের উড়োজাহাজ ব্যবহারের সময় ফারাহর সঙ্গে যে হাতব্যাগ ছিল, তার দাম ৯০ হাজার ডলার।’ স্থানীয় মুদ্রায় ব্যাগটির দাম প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ রুপি।
এদিকে সূত্রগুলো জিয়ো নিউজকে জানিয়েছে, ফার্স্ট লেডির বান্ধবী ৩ এপ্রিল দুবাই পৌঁছেছেন। তাঁর আসল নাম ফারাহ শাহজাদি। পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে একটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে তিনি পাকিস্তান ছেড়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
ফারাহর বক্তব্য জানতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জিয়ো নিউজ। অভিযোগের বিষয় তাঁদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে বন্ধুরা বলেছেন, ফারাহর কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়া হবে।
বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পরপরই গত রোববার প্রেসিডেন্টকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগপর্যন্ত তাঁকে দায়িত্ব চালিয় যেতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট। ‘গ্রেপ্তার–আতঙ্কে’ ওই দিনই ফারাহ খান দেশ ছাড়েন বলে গুঞ্জন রয়েছে।