ইমরানের মতো অনাস্থার মুখে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও
দুই দিনের বিরতির পর আজ সোমবার আবারও শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন। এদিনের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারেন স্পিকার আসাদ কায়সার। তবে আজ প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হলেও এ নিয়ে ৪ এপ্রিলের আগে ভোটাভুটির সুযোগ নেই। এদিকে ইমরানের মতো করেই অনাস্থার মুখে পড়েছেন দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার। তাঁর বিরুদ্ধে আজ পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। খবর ডনের
ইমরানের বিরুদ্ধে ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানায় তারা। গত শুক্রবার অধিবেশন শুরু হলেও ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন না করেই অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার আসাদ কায়সার। জাতীয় পরিষদের সদ্য প্রয়াত সদস্য খায়াল জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানীয় সময় আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত তা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আজকের অধিবেশনে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলেছেন, স্পিকার আসাদ কায়সার যদি আজ সোমবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন, তবে এ নিয়ে ভোটাভুটি হবে ৪ এপ্রিল। কারণ, বিধি অনুযায়ী প্রস্তাব উত্থাপনের তিন দিনের আগে তা নিয়ে ভোটাভুটি করা যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে আবার সাত দিনের বেশি সময় নেওয়া যাবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভোটাভুটির জন্য সরকার সর্বোচ্চ সময় নিতে পারে।
এদিকে ইমরানের পাশাপাশি অনাস্থার মুখে পড়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার। আজ সকালে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
রেডিও পাকিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হলে তিনি আর প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দিতে পারেন না। তখন ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন আহ্বান করতে হয়।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুজদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন ১২৭ জন আইনপ্রণেতা। আর এ নিয়ে আলোচনা শুরুর জন্য স্পিকারকে লেখা আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ১২০ জন আইনপ্রণেতা।
এক ভিডিও বার্তায় পিএমএল-এন নেতা রানা মাসুদ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন শুরুর আবেদনে ৭৪ জন আইনপ্রণেতাকে স্বাক্ষর করতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকার চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে অধিবেশন আহ্বান করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।