ইমরানের ডাকে রাজপথে সমর্থকদের বিক্ষোভ
অনাস্থা ভোটে সদ্য প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ইমরান খানের ডাকে পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে দেশটির বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। খবর ডন ও জিয়ো নিউজের।
ইমরান খান অনাস্থা ভোটে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ রয়েছে দাবি করে এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজপথে নেমে আসেন হাজারো সমর্থক।
ইসলামাবাদ, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, মুলতান ও লাহোরের মতো প্রধান প্রধান শহর ছাড়া সারা দেশে শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছেন ইমরানের দলের কর্মী-সমর্থকেরা। এসব বিক্ষোভে উপস্থিতি ছিল লক্ষ করার মতো।
বিক্ষোভের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে ইমরান খান লিখেছেন, ‘দুর্বৃত্তদের নেতৃত্বে আমদানি করা সরকার প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ইতিহাসে আগে কখনোই এভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতসংখ্যক বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমে আসেননি।’ এর আগে সকালে দিনটিকে ‘সরকার পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ‘মুক্তিসংগ্রামের’ শুরু হিসেবে ঘোষণা দেন। সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে তিনি বলেন, ‘কেবল জনগণই সব সময় নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে থাকে।’
আগের দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী এদিন এশার নামাজের পর জনগণকে বিক্ষোভ প্রদর্শনের আহ্বান জানান। পরে দলীয়ভাবে রাত সাড়ে নয়টায় বিক্ষোভ শুরু করার সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হয়।
নানা নাটকীয়তার পর গত শনিবার রাতে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এ অনাস্থা ভোটের পেছনে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন তিনি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা তাঁর এ দাবিকে ‘অতিরঞ্জিত’ মনে করছেন।
সেনা হস্তক্ষেপের দীর্ঘ ইতিহাস থাকা পাকিস্তানে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। তবে ইমরান খানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে বিদায় নিয়েছেন।