আইএসআইকে ‘টাইগার ফোর্স’ বানানোর চেষ্টা করছেন ইমরান খান
গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানে বিতর্ক চলছে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি। গত রোববার করাচিতে পিপিপির এক সমাবেশে বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আইএসআইকে তাঁর দলের ‘টাইগার্স ফোর্স’ বানানোর চেষ্টা করেছেন। খবর ডন অনলাইনের।
বিলওয়াল বলেন, ‘ইমরান খান দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে তাঁর দলের টাইগার ফোর্স (বিশেষ বাহিনী) বানানোর চেষ্টা করছেন। পার্লামেন্ট, সিনেট, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, পাঞ্জাব পুলিশ, পাঞ্জাবের আমলাতন্ত্রে আঘাত করছেন। কয়েকবার বদলি করেছেন পাঞ্জাবের পুলিশপ্রধান ও মুখ্য সচিবকে। কোনো প্রতিষ্ঠান, এমনকি গণমাধ্যমকেও তাঁর দলের টাইগার ফোর্সে পরিণত করার চেষ্টার বাদ রাখেননি তিনি।’
পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘তিনি (ইমরান খান) সেনাবাহিনী ও আইএসআইকেও তাঁর টাইগার ফোর্সে পরিণত করার চেষ্টা করছেন।’
গত বছর ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) মহামারি মোকাবিলায় করোনা রিলিফ টাইগার টাস্কফোর্স (সিআরটিএফ) গঠন করে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এটি গঠন করা হয়। ওই টাস্কফোর্সকে উদ্দেশ করেই বিলওয়াল এসব মন্তব্য করেছেন।
আইএসআইয়ের মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে দেখা দেওয়া বিতর্কের মধ্যে বিলওয়াল ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্ন তুললেন।
গত সোমবার পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আইএসআই মহাপরিচালক হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আনজুমের নাম জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু তাঁকে নিয়োগের ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ইমরান খানের অফিস থেকে কোনো বার্তা আসেনি। এ নিয়ে নানা বিতর্ক হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের পদ্ধতি সংবিধান বা সামরিক আইনে উল্লেখ করা হয়নি। অতীতের সব নিয়োগ ঐতিহ্য অনুসারে করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি নাম প্রস্তাব করেন। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এবার তা করা হয়নি।