আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক
পাকিস্তানে নতুন ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগের বিষয় নিয়ে বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গত বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রার্থীদের নামসহ নথির একটি সারসংক্ষেপ হাতে পেয়েছেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন–এর এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
নাম প্রকাশ না করে এক মন্ত্রী ডনকে বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে আইএসআই মহাপরিচালক পদের প্রার্থীদের নাম এসেছে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার রাতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার বৈঠকের বিবরণ প্রকাশ করার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জাতীয় পরিষদের চিফ হুইপ আমির ডোগারকে তিরস্কার করেছে। তিনি দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন।
গত বুধবার দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী টুইট করে বলেছেন, আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের পরামর্শের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব আবার প্রমাণ করেছে যে সব প্রতিষ্ঠান দেশের স্থিতিশীলতা, অখণ্ডতা ও উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী নতুন আইএসআই প্রধানকে নিয়োগ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএসআই প্রধান নিয়োগের পদ্ধতি সংবিধান বা সামরিক আইনে উল্লেখ করা হয়নি। অতীতের সব নিয়োগ ঐহিত্য অনুসারে করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি নাম প্রস্তাব করেন। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সামরিক শাখা আইএসপিআর ঘোষণা দেয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আঞ্জুমকে নতুন আইএসআই প্রধান করা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং থেকে তাঁকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নাম ঘোষণাও করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার ইস্যুটিতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে নোটিফিকেশন আসেনি। এ নিয়ে নানা বিতর্ক হয় ও হচ্ছে। তারই মধ্যে এ ইস্যুতে প্রথমবার পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী বক্তব্য দেন