ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ইমরানের দল পিটিআইয়ের
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গতকাল শুক্রবার তাঁদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দলটি এর ব্যাখ্যা চেয়েছে।
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পিটিআই তাদের প্রতীক ব্যাট পায়নি। এরপর আলাদা আলাদা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে দলটি।
পিটিআই বলেছে, ভোটারদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করতে ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট তথ্য সহজে দিতে তারা তাদের ওয়েবসাইট ইনসাফডটপিকেতে অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। পিটিআইক্যানডিডেটসডটকম নামেও তাদের একটি সাইট রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটে এমন ফিচারও রয়েছে, যাতে ভোটাররা ইমরান খানের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন।
ডনডটকমের কর্মীরা গতকাল শুক্রবার পিটিআইয়ের ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে ওয়াই–ফাই অথবা মুঠোফোনের ডেটা দিয়ে তাঁরা ঢুকতে পারেননি। কেবল ভিপিএন দিয়ে সাইটে ঢোকা গেছে।
পিটিআইয়ের এক্স অ্যাকাউন্টে পাকিস্তান টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষকে (পিটিএ) ট্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঙ্গি বলেছেন, ‘পিটিআইয়ের ওয়েবসাইট পাকিস্তানে কেন বন্ধ, আপনি কি ব্যাখ্যা করতে পারেন?’ তবে এ বিষয়ে ডনকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পিটিএ।
পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য দিতে ভুয়া ওয়েবপোর্টাল চালুর অভিযোগ ওঠে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে। এর মাধ্যমে ভোটারদের পিটিআই ভুয়া তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি পিটিআইয়ের বেশ কিছু অনলাইন কর্মসূচি চলার সময় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হয়। ২০ জানুয়ারি পিটিআইয়ের ভার্চ্যুয়াল পাওয়ার শো শুরুর এক ঘণ্টা আগে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হয়। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর ও ৭ জানুয়ারি একইভাবে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হয়। ইন্টারনেট স্থগিতাদেশ বিষয়ে নোটিশ দিতে পিটিআই সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানায়।
তবে সংবাদ সম্মেলনে পিটিএর মহাপরিচালক আহমেদ শামিম পীরজাদা বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিস্টেম আপগ্রেডের কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাস এই সমস্যা থাকতে পারে বলে তিনি জানান।