ইমরান খান ‘সনদধারী চোর’: শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ‘সনদধারী চোর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তোশাখানা মামলায় ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন শাহবাজ।
দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনমন্ত্রী আজম নাজির ও উপদেষ্টা আতাউল্লাহ তারারকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল শনিবার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ এসব কথা বলেন।
ইমরানের অযোগ্যতার বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, তাঁর পূর্বসূরি ‘সনদধারী মিথ্যাবাদী এবং চোর’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এটি ইমরানের কর্মের ‘প্রতিফলন’।
শাহবাজ অভিযোগ করে বলেন, ইমরান ‘কারচুপি’ করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ইমরান দাবি করেছিলেন, রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো নিলাম করে অর্থ সরকারি কোষাগারে যাবে। ইমরান পাকিস্তানকে অসম্মান করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও স্বীকার করছি রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির টাকা রাজকোষে জমা দিলে জাতি আপনাকে স্যালুট করত।’
ইমরানের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন। যাতে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানে তিনি একটি রাষ্ট্রীয় উপহার কিনতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘আমি চিঠির উত্তরে লিখেছিলাম ‘না, ধন্যবাদ’ এবং তোশাখানায় (উপহার) জমা দিয়েছিলাম।’
শাহবাজ আরও বলেন, উপহারগুলো হারিয়ে যাওয়ার ধারণা দূর করতে এখন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রদর্শন করছি। যাতে মানুষ জানতে পারে কে উপহার বিক্রি করেছে এবং টাকা কার পকেটে গেছে।’
এর আগে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। কমিশন বলেছে, এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতি করেছেন ইমরান। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং কোনো সরকারি দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন।
গত শুক্রবার ইসিপি সর্বসম্মতভাবে এই আদেশ দেয়। ইসিপির আদেশে বলা হয়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান আর দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (পার্লামেন্ট) সদস্য নন।
ইমরান খানের একজন আইনজীবী বলেন, যে ধারায় পিটিআই চেয়ারম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাতে তাঁকে সরকারি দায়িত্ব পালনে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তোশাখানা মামলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ইসলামাবাদের কমিশন সচিবালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।