ভোটের দিনে পাকিস্তানে মুঠোফোন-ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে আজ বৃহস্পতিবার। এ জন্য দেশজুড়ে মুঠোফোন সেবা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির’ কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটাই বেড়ে গেছে। এতে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। অবনতি ঘটছে দেশের নিরাপত্তা পরিবেশের। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার ঝুঁকির বিপরীতে ‘সুরক্ষাকবচ’ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
নির্বাচনের দিনে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকা বা গতি কম থাকার খবর জানিয়েছে ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান নেটব্লকস।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা বলেছেন, নিরাপদ পরিবেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’একটি নির্বাচন হবে—এটাই তাঁর প্রত্যাশা। তবে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাবেক সিনেটর মুস্তফা খোখার বলেছেন, ভোট গ্রহণের দিন মুঠোফোন সেবা বন্ধ রেখেছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে ভোটের দিনের কারচুপি শুরু হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, এবারের নির্বাচনের জন্য ১২ কোটি ৮০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার আছেন। ২৬৬ আসনে মোট ৫ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৬৫টি ভোটকেন্দ্রকে ‘স্পর্শকাতর’ এবং ১৮ হাজার ৪৩৭টি ভোটকেন্দ্রকে ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের পাশাপাশি আজ পাকিস্তানের চারটি প্রাদেশিক পরিষদেও ভোট নেওয়া হচ্ছে।