অর্থসংকটের মুখে পাকিস্তানের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের খরচে কাঁচি
কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের ভাতা ও ভ্রমণ ব্যয় কাটছাঁট করছে দেশটির সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান।
দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ শরিফ বলেন, তাঁর সরকার কৃচ্ছ্রসাধন অভিযানের মাধ্যমে বার্ষিক ২০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সাশ্রয় করতে চায়।
পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। দেশটি ইতিমধ্যে ঋণখেলাপি, দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে গত সপ্তাহে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ক্রমশ কমছে। এই মজুত এখন ৩০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। এই মজুত দিয়ে এক মাসের বেশি আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে অর্থ চায়। ঋণ পেতে নানা শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। শর্ত পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে পাকিস্তান সরকার। এসব পদক্ষেপের মধ্যে সরকারি ব্যয় কমানোর বিষয়টি রয়েছে।এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল বেশ কিছু কৃচ্ছ্রনীতির ঘোষণা দেন।
শাহবাজ শরিফ বলেন, সব ফেডারেল মন্ত্রণালয় ও সরকারি অফিসকে ১৫ শতাংশ খরচ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শাহবাজ শরিফ তাঁর সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের বেতনে ছাড় দিতে বলেছেন। ভাতা, বিলাসবহুল গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ প্রভৃতি পরিহার করতে বলেছেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রী-উপদেষ্টারা স্বেচ্ছায় সম্মত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে কিছু শর্ত পূরণ করতে বলেছে আইএমএফ। এই শর্তগুলো পূরণের জন্যই পাকিস্তান সরকারকে বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।