পিটিআইকে আলোচনার প্রস্তাব পাকিস্তান সরকারের

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানফাইল ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ তাঁর মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ পিটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন। গতকাল রোববার তিনি এ প্রস্তাব দেন।

এর আগে অবশ্য পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন পিএমএল–এন পার্টির প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ বলেন, পিটিআইয়ের ২৪ নভেম্বরে বিক্ষোভ পাকিস্তানের অগ্রগতিতে বাধা হতে পারবে না।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পিটিআইয়ের জন্য আলোচনার দরজা সব সময় খোলা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইমরান খান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার বসতে চান না। তিনি চান সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইমরান খান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে বা চুক্তিতে আগ্রহের কথা জানান। দ্য গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খানের সঙ্গে কোনো চুক্তির কথা অস্বীকার করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এর আগে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দারপুরের নেতৃত্বে দুই দফা বিক্ষোভ করেছে পিটিআই। কিন্তু তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেনি।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের সবাই ভণ্ড ও মিথ্যাবাদী। আগের বিক্ষোভ সমাবেশগুলোর মতোই এবারও তারা ব্যর্থ হবে।

পিএমএল-এন পার্টির এই নেতার অভিযোগ, প্রতিবার পিটিআই নেতারা তাঁদের কর্মীদের উদ্বুব্ধ করে সমাবেশে আনেন কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তাঁদের নাকাল হওয়ার জন্য মাঝপথে ছেড়ে পালান। তিনি ইমরানকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, ইমরান খান ও তাঁর সন্তানেরা বিদেশে আরামের জীবনযাপন করছেন। এখন কেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি সন্তানদের ডেকে এনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে বলছেন না?

এর আগে শনিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের নওয়াজ শরিফ বলেন, পিটিআইয়ের সমাবেশ পাকিস্তানের উন্নতিতে কোনো বাধা হবে না। তিনি পিটিআইয়ের বিক্ষোভকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা বলে মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান খান পাকিস্তানের সম্মানের ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। বর্তমানে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখা হয়েছে।