লংমার্চের ডাক দিলে গৃহবন্দী হতে পারেন ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান লংমার্চের ডাক দিতে পারেন। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। ইমরান ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চের ডাক দিলে তাঁকে গৃহবন্দী করতে পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ জন্য একটি পরিকল্পনাও করে রেখেছে সরকার। একটি সূত্র বলেছে, পিটিআই প্রধানকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আটক করা হতে পারে। খবর ডন–এর।
ইমরান খান তাঁর দলের নেতাদের চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় থাকতে বলেছেন। বর্তমান জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের পতনের লক্ষ্যে তিনি লংমার্চের ঘোষণা দেবেন বলে আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছেন। কয়েকটি এলাকায় পিটিআই সমর্থকেরা সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লংমার্চ করতে সব ধরনের আত্মত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সূত্র বলছে, পাকিস্তান সরকার এই লংমার্চ ঠেকাতে ‘প্ল্যান-বি’ বা আলাদা পরিকল্পনাও করে রেখেছে। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসলামবাদে ঢোকার আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিদেশি তহবিল মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার এখন সময়ের অপেক্ষা।
প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর থেকে লাগাতার শাহবাজ শরিফ সরকারকে নিশানা করে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছিলেন ইমরান খান। সম্প্রতি তাঁকে পালটা আক্রমণ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ইমরানকে মিথ্যাবাদী বলেন।
ক্ষমতা হারানোর পর থেকে পাকিস্তানে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন ইমরান খান। ভোটের জন্য জনসংযোগ বাড়াতে লাগাতার জনসভা করছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ইস্যুতে পিটিআই চেয়ারম্যানের সমালোচনা করে শাহবাজ শরিফ বলেন, বিপজ্জনকভাবে সমাজে বিভাজনের বিষ ঢোকাচ্ছেন ইমরান।