পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে দেশটিতে এ ধরনের দ্বিতীয় পদক্ষেপ এটি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আগাম জাতীয় নির্বাচনের জন্য দেওয়া চাপের মুখে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রাদেশিক পরিষদে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। খবর আল–জাজিরার
খাইবার পাখতুনখাওয়ার গভর্নর হাজি গুলাম আলী গত বুধবার প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার চিঠিতে সই করেন। তাঁর সইয়ের পর এটি কার্যকর হয়েছে। প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা মাহমুদ খান হাজি গুলাম আলীকে গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
এর আগে গত শনিবার পিটিআই প্রধান ইমরান খানের নির্দেশে পাঞ্জাব প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়। গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে দ্রুত নির্বাচন দাবি করে আসছেন ইমরান খান। তা না হলে প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে দেশটিতে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রাদেশিক আইনসভা ভেঙে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন হতে হবে। পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংবিধান অনুযায়ী পৃথকভাবেও নির্বাচন হতে পারে।
ইমরান খান আশা করছেন, দেশের দুটি প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবেন। গত মঙ্গলবার প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান বলেন, ‘খাইবার পাখতুনখাওয়াসহ পুরো পাকিস্তানে আমরা দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরে আসব। এ ছাড়া আমাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সরকার গঠন করব।’
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খান বলেছেন, তাঁর সঙ্গে বর্তমান সামরিক নেতৃত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগামী এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে তিনি কোনো সম্পর্ক রাখেননি। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার অভিযোগ আনেন।