সরকার-সেনা মতৈক্য
পাকিস্তানে ভাঙচুরের বিচার সেনা আইনে
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সামরিক বাহিনীরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
পাকিস্তানে ৯ মে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় জড়িতদের সেনা আইন ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসের অধীনে বিচারে একমত হয়েছেন বেসামরিক নেতৃত্ব ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। গত মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। আগের দিন সামরিক বাহিনীর কর্পস কমান্ডার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে ছড়িয়ে পড়া সহিংস বিক্ষোভে সামরিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় পিটিআইয়ের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন নেতাসহ বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এই বৈঠকে সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই সহিংস হামলায় জড়িত সবাইকে, তাঁদের সহযোগীদের এবং এসব লোককে ভাঙচুর চালাতে উসকানি দেওয়া নেতাদের আটকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অবশ্য সেনা আইনের অধীনে অগ্নিসংযোগকারীদের বিচার করার প্রস্তাবিত পদক্ষেপটি কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারকে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
ইমরানের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ
ইমরান খান গতকাল এক টুইটে বলেন, পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। তাঁর গ্রেপ্তার আসন্ন। এদিকে জিও নিউজ জানায়, ইমরান গতকাল তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাসভবনের সামনে সমবেত সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, পুলিশ যদি তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি তল্লাশির জন্য সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে আসে, তাহলে তিনি তাঁদের বাধা দেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এইমাত্র শুনলাম, আমার বাড়িতে নাকি ৪০ জন সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে। অনুগ্রহ করে আপনারা (পুলিশ) এখানে ভদ্র আচরণ করুন এবং আমার বাড়িতে হামলা চালাবেন না।’
ইমরান খানকে তলব
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে তলব করেছে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (ন্যাব) রাওয়ালপিন্ডি কার্যালয়।
৩১ মে পর্যন্ত জামিন
এদিকে ইমরান খানের আইনজীবীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।