করাচিতে সমাহিত পারভেজ মোশাররফ
করাচিতে সমাহিত হলেন পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। মঙ্গলবার বিকেলে করাচি সেনানিবাসের একটি মসজিদে পারভেজ মোশাররফের জানাজা হয়। জানাজা শেষে করাচির কালা পুল এলাকায় সেনাবাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁকে। খবর দ্য ডনের।
পারভেজ মোশাররফের জানাজায় অংশ নেন পাকিস্তানের সাবেক তিন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, আশফাক পারভেজ কায়ানি ও আসলাম বেগ। এ ছাড়াও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) নেতা খালিদ মকবুল, ফারুক সাত্তার, পাক সার জমিন (পিএসপি) পার্টির নেতা মুস্তাফা কামাল, কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা আমির মুকাম, প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ও সিন্ধু প্রদেশের সাবেক গভর্নর ইমরান ইসমাইল, সাবেক কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী জাভেদ জব্বার পারভেজ মোশাররফের জানাজায় অংশ নেন।
পারভেজ মোশাররফের প্রতিষ্ঠিত দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (এপিএমএল) মুখপাত্র তাহির হাসান ও পারভেজ মোশাররফের পরিবার এসব তথ্য জানায়। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে পারভেজ মোশাররফের মরদেহ বহনকারী বিশেষ একটি উড়োজাহাজ করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ৫ ফেব্রুয়ারি ৭৯ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মোশাররফ অ্যামিলয়েডোসিস নামে একটি বিরল রোগে ভুগছিলেন। গত গ্রীষ্মে তাঁর পরিবার বলেছিল, তাঁর সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। গত বছরের জুনে মোশাররফের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের মার্চে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর আর পারভেজ মোশাররফ দেশে ফেরেননি।
১৯৯৯ সালে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন পারভেজ মোশাররফ। প্রধান বিচারপতিকে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা ও অবনতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৮ সালে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দেশটির সেনাপ্রধান হিসেবে পারভেজ মোশাররফকে নিয়োগ দেন।