পাঞ্জাবের নবনির্বাচিতরা শপথ নিলেন, সরকার গড়ছে পিএমএল-এন
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৈরি রাজনৈতিক অচলাবস্থার ‘আপাত অবসানের’ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর গতকাল শুক্রবার শপথ নিয়েছেন পাঞ্জাব প্রদেশের নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতারা (এমপিএ)।
পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে মনোনীত করেছে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী পিএমএল-এন। প্রথমবার আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হয়েই পাকিস্তানের রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নতুন অধিবেশন আহ্বান করেন গভর্নর বালিঘুর রহমান। এরপর গতকাল বাদ জুমা নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের শপথবাক্য পাঠ করান বিদায়ী স্পিকার সিবতাইন খান।
আজ শনিবার পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করবেন আইনপ্রণেতারা। এরপর তাঁরা দায়িত্ব নিলে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। তবে পিটিআই অভিযোগ তুলেছে, তাদের দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা গতকাল প্রাদেশিক পরিষদে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। পিটিআই নেতা শেখ ইমতিয়াজ দাবি করেন, শপথ নেওয়ার জন্য লুকিয়ে পরিষদে ঢুকতে হয়েছে তাঁদের দলের আইনপ্রণেতাদের।
পাঞ্জাব প্রদেশের মোট আসন ৩৭১টি। এর মধ্যে ২৯৭ আসনে সরাসরি ভোট হয়। আর ৭৪টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে পিটিআই বলেছে, পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদ ভবনের বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। দলটির অভিযোগ দলের এমপিএদের আটক করার জন্য এত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি ১৩৮ আসনে জয় পেয়েছে পিএমএল-এন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৪ আসন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পিটিআই-সমর্থিতদের বাইরে যে ২৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২০ জন পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন। এতে পিএমএল-এনের আসনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫৮।