পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলায় দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। গতকাল সোমবার দলটির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে। পিটিআই চাইছে, সর্বোচ্চ আদালত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ন দিলওয়ারের দেওয়া রায় খারিজ করে দিক।
পিটিআই বলছে, ইমরান খান ন্যায়বিচার পাননি। এই মামলায় আবারও শুনানি হোক।
রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচা (তোশাখানা) দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের সাজা হওয়ার পর গত শনিবার ইমরানকে লাহোরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ইসলামাবাদের কাছে আটক জেলার একটি কারাগারে রাখা হয়েছে। যদিও ইমরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে এই আপিলের আগে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান তাঁর আইনজীবীরা। তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া রায় নিয়ে আপিল করার আগে গতকাল দুপুরে ইমরানের সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁর আইনজীবী নাঈম পানঝুতা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্য কারাগারে নিতে আবেদন
এদিকে ইমরান খানের কারাগার পরিবর্তনে আবেদন করেছে পিটিআই। গতকাল ইসলামাবাদের হাইকোর্টে করা আবেদনে বলা হয়, তাঁকে আটক কারাগার থেকে আদিয়াল কারাগারে নেওয়া হোক। একই সঙ্গে তাঁকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। এই আবেদনের আগে ইসলামাবাদে নাঈম সাংবাদিকদের বলেন, ইমরান খানকে কারাগারে অপেক্ষাকৃত ভালো পরিবেশে রাখার জন্য আইনজীবী দলের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে।
নাঈমের দাবি, কারাগারে ইমরান খানের এ ক্লাস সেল পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কারণ, কারাগারে রাজনৈতিক বন্দীদের টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং বইসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। অথচ ইমরানকে সি ক্লাস সেলে রাখা হয়েছে।
ইমরানের কারাগার পরিবর্তনের আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। সমৃদ্ধ পরিবার থেকে উঠে আসা ইমরান সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। এসব বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে আদিয়াল কারাগারে স্থানান্তর করা হোক।