পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানের বিধানসভায় পিটিআই নিষিদ্ধের জন্য প্রস্তাব

বিভিন্ন মামলায় জামিনের জন্য বন্ডে স্বাক্ষর করছেন বুশরা বিবি (বাঁয়ে), পাশে ইমরান খান। লাহোর হাইকোর্টের একটি রেজিস্ট্রার অফিসে, ১৭ জুলাই ২০২৩ফাইল ছবি: এএফপি

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার জন্য পাঞ্জাবের বিধানসভা সচিবালয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা ও প্রাদেশিক বিধানসভার সদস্য রানা মুহাম্মদ ফাইয়াজ এ প্রস্তাব পেশ করেছেন। আগের দিন বৃহস্পতিবার বেলুচিস্তান বিধানসভাতেও অনুরূপ একটি প্রস্তাব দিয়েছে পিএমএল-এন।

পাঞ্জাবের বিধানসভা সচিবালয়ে পেশ করা প্রস্তাবে পিটিআইকে ‘ঐক্য নষ্টকারী গোষ্ঠী’ উল্লেখ করে দলটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের ছদ্মবেশে দলটি ঐক্য নষ্ট করছে বলে প্রস্তাবটিতে অভিযোগ করা হয়েছে। গত রোববারের (২৪ নভেম্বর) ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবটিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, পিটিআই পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে। তা ছাড়া দলটি নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড উসকে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

গত রোববার রাজধানী ইসলামাবাদসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। এতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘাত হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে পিটিআই নিষিদ্ধের দাবি উঠছে।

বৃহস্পতিবার বেলুচিস্তানের বিধানসভায় পেশ করা প্রস্তাবে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, অর্থনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ ইনস্টিটিউশনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রস্তাবে পিটিআইয় নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে তদন্ত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দলটির অভিযুক্ত নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইসলামাবাদ ও দেশটির অন্য জায়গায় পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ থেকে ১ হাজার ১৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের ৬৪ জন আফগান নাগরিক। গ্রেপ্তার আফগান নাগরিকদের থেকে নানা ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো।

পিটিআই নেতা সালমান আকতার রাজা দাবি করেছেন, বিক্ষোভে ২০ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষগুলো এ দাবি অস্বীকার করেছে।