পাকিস্তানে গির্জায় হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গির্জা ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে এসব ঘটনা তদন্তে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
গতকাল বুধবার ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পনগরী ফয়সালাবাদের উপকণ্ঠে একটি খ্রিষ্টানঅধ্যুষিত এলাকায় শত শত মুসলিম হামলা চালান। তাঁরা গির্জায় আগুন ধরিয়ে দেন।
এ দিনই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাকিস্তানে কোরআন অবমাননার খবরে গির্জা ও বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মুক্তমতকে সমর্থন করে। সহিংসতা কিংবা সহিংসতার হুমকি কখনো মত প্রকাশের গ্রহণযোগ্য ধরন হতে পারে না। এসব অভিযোগের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পরিচালনা এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আমরা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার মতো বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। দেশটিতে ইসলাম ধর্ম কিংবা ইসলাম ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবমাননার দায়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড দেওয়ারও বিধান রয়েছে।
কাকারকে অভিনন্দন যুক্তরাষ্ট্রের
পাকিস্তানে গত সোমবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আনোয়ারুল হক কাকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে কাকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাকার বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) সিনেটর ছিলেন।
ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই নেতাকে কারাগারে পাঠানোর পর অস্থিরতা আরও বেড়েছে। ইমরানের সমর্থকদের দাবি, ইমরান যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইমরানকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে। তবে তাঁর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন।