মানসেহরা আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি পেলেন নওয়াজ
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মানসেহরা আসনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র অনুমোদন করেছেন।
তবে লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়নপত্র নিয়ে আপত্তির ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
মানসেহরা আসনে নওয়াজের মনোনয়নপত্র অনুমোদন করা নিয়ে পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) নেতা আজম সোয়াতি আপত্তি জানিয়েছিলেন। দলের স্থানীয় নেতা শহীদ রফিকের মাধ্যমে তিনি এ আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে সে আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাগজপত্র প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন।
পিটিআই নেতা সোয়াতি যুক্তি দেখিয়েছেন, পিএমএল-এন নেতা নওয়াজকে সুপ্রিম কোর্ট আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র অনুমোদনের এখতিয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার নেই। তবে শেষ পর্যন্ত এসব যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে নওয়াজ শরিফকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তোশাখানা মামলাকে কেন্দ্র করে লাহোরে জাতীয় পরিষদের ১২২ নম্বর আসনে ইমরান খানের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড হলেও পরে সাজা স্থগিত করা হয়।
ইমরানের মনোনয়ন নিয়ে যিনি আপত্তি জানিয়েছেন, তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, আদালত শুধু সাজা স্থগিত করেছেন, পিটিআই নেতাকে তো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।
জাতীয় পরিষদের ১২৭ নম্বর আসনে পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির মনোনয়ন নিয়েও আপত্তি উঠেছে। তবে বিলাওয়ালের প্রতিনিধি ইরফান কাদির বলেছেন, পিপিপি প্রধানের মনোনয়নপত্র নিয়ে যিনি আপত্তি জানিয়েছেন, তিনি ওই আসনের নিবন্ধিত ভোটার নন।
এ দুই মনোনয়ন নিয়ে যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা এখনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি।