ইমরানের বিচার সামরিক আদালতে করা বিবেচনায় নেই: পাকিস্তান সরকার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিচার সামরিক আদালতে করার কথা এখনো বিবেচনায় নেই সরকারের। গতকাল সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিচারপতি মিয়াঁগুল হাসান আওরঙ্গজেবের বেঞ্চে ইমরান খানের করা একটি পিটিশন নিয়ে শুনানির সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) ব্যারিস্টার মুনাওয়ার ইকবাল দুগ্গাল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কারারুদ্ধ নেতা ইমরান সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন (পিটিশন) করেন। সেখানে তিনি গত বছর ৯ মে তাঁকে গ্রেপ্তার কাণ্ড ঘিরে হওয়া সংঘাতের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিচার সামরিক আদালতে হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে গতকাল শুনানি হয়। বিচারপতি আওরঙ্গজেব পাকিস্তান সরকারকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সামরিক বিচার হওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য আদালতকে জমা দিতে বলেছেন।
কীভাবে সামরিক আদালতে একজন বেসামরিক নাগরিকের বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে, সে বিষয়েও সরকারপক্ষকে জিজ্ঞাসা করেছেন বিচারপতি আওরঙ্গজেব।
জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার ফালাক নাজ বলেন, কোর্ট মার্শাল কার্যক্রম শুরু করার আগে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়। পাকিস্তান সেনা আইনের ধারা ২(১)(ডি)–এর অধীনে কিছু অপরাধের জন্য সামরিক আদালতে একজন বেসামরিক ব্যক্তির বিচার করা যেতে পারে।
তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ইমরানের সামরিক আদালতে বিচার প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন এএজি ব্যারিস্টার মুনাওয়ার। তিনি বলেন, যদি সামরিক কর্তৃপক্ষ তাঁর (ইমরানের) বিচার করতে চায়, তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আইন মেনে তার মোকাবিলা করতে হবে।
যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেও আদালতকে জানান ব্যারিস্টার মুনাওয়ার।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইমরানের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, যেহেতু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি, সে ক্ষেত্রে তাদের পিটিশন আগাম কি না।
জবাবে আইনজীবী উজির ভান্ডারি আদালতকে বলেন, ব্যারিস্টার আকিল মালিক আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার সামরিক আদালতে হবে, এটা রেকর্ডে রয়েছে।
ইমরান খান গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দী আছেন।