৯ মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। পাকিস্তানের ১০০ আসনবিশিষ্ট সিনেটের প্রায় অর্ধেক সদস্যের ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই দিন আগে ৯ মার্চ এ ভোটাভুটির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছে ডন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, চার প্রাদেশিক পরিষদের সব কটি গঠিত হওয়ার পর বর্তমান সিনেটররা প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করবেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ৯ বা ১০ মার্চ ভোট হতে পারে।
এদিকে পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে ছয়দলীয় জোট সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জোট জানিয়ে দিয়েছে, আসিফ আলী জারদারি তাদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। এর আগে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন জারদারি। সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের পদত্যাগের পর তিনি দায়িত্ব নেন।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৪১ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিনের বেশি সময় আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটি করা যায় না। কিংবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ভোটাভুটির জন্য ৩০ দিনের বেশি সময় পার করা যায় না।
তবে যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার কারণে উল্লিখিত সময়ে নির্বাচন না করা যায়, তবে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটির আয়োজন করতে হয়।
সে অনুযায়ী, পাকিস্তানে ৯ মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে হবে। পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদ নির্বাচন হয়েছে।