ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে আবার বৈঠকে বসতে পারে পিএমএল-এন ও পিপিপি

পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ (বাঁয়ে) ও পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিফাইল ছবি: এএফপি

জোট সরকার গঠনে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) যোগাযোগ ও সমন্বয় কমিটির মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হতে পারে আজ শুক্রবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দলের বৈঠকে বসার কথা ছিল। তবে সেটি হয়নি।

প্রথম দফা বৈঠকে আলোচিত প্রস্তাবগুলো মূল্যায়নের জন্য আরও সময় চেয়েছিল দুই পক্ষ। আজ দুই পক্ষ বৈঠকে বসতে পারে।

পিপিপি নওয়াজের দলকে সরকার গড়তে ও প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। তবে সাংবিধানিক দায়িত্বে পিএমএল-এন তাঁদের সমর্থন করবে বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন

বিভিন্ন সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গে জাতীয় পরিষদের স্পিকার পদ নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে তাঁকে সিনেটে চেয়ারম্যানের পদের প্রার্থী করা হতে পারে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। স্পিকার পদের জন্য বিরোধী দলের নেতা খুরশীদ শাহের নামও শোনা গেছে। তবে পিএমএল-এন স্পিকার পদে সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিকের কথা বলেছে।

পিপিপির তথ্যসচিব ফয়সাল করিম কুন্দি বলেছেন, পিপিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা বললেও পিটিআই কোনো যোগাযোগ করেনি। তিনি আরও বলেন, কোনো পরামর্শ থাকলে পিটিআই ছয় সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটির কাছে উত্থাপন করবে। এসব পরামর্শ বিবেচনার জন্য শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের কাছে যাবে।

গতকাল পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে জারদারি হাউসে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়। ওই বৈঠকে কামার জামান কায়রা, সৈয়দ মুরাদ আলী শাহ, সাইদ ঘানি ও অন্য নেতারা অংশ নেন।

আরও পড়ুন

এদিকে পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনী এলাকা পিপি-৮৯ ভাক্করের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির মুহাম্মদ খান পিপিপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অধিকাংশ আসনে জিতলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জোট সরকার গঠনের জন্য পিপিপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইমরান খান তাঁর অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন।