ইমরান খানের লংমার্চ শুরু শুক্রবার
আগামী শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) লংমার্চ কর্মসূচি শুরু হবে। লাহোরের লিবার্টি চক থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর ডনের।
দেশের ‘প্রকৃত স্বাধীনতার’ জন্য এই লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইমরান খান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লিবার্টি চক থেকে বেলা ১১টায় লংমার্চ শুরু হবে। তিনি নিজেই এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য আমাদের এই লংমার্চ এবং এর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আমরা জিটি রোড থেকে ইসলামাবাদ পৌঁছাব। পাকিস্তানের সব প্রান্ত থেকে ইসলামাবাদে জনতার ঢল নামবে।’ তিনি দাবি করেন, ‘দেশের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’ পিটিআই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এই লংমার্চ রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চোরদের থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ। এই জিহাদই ঠিক করে দেবে দেশের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে ঠেকবে।’
লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে দলের দাবি প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, তিনি একটি বিষয়ই চান—‘কে দেশের নেতৃত্ব দেবেন, সেটা দেশের জনগণই ঠিক করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। আজ আমি গোটা জাতির কাছে আবেদন জানাচ্ছি—আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা কি একটি স্বাধীন দেশ হতে চাই, নাকি এই চোরদের সেবা করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিক্ষোভ হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা আইন ভাঙব না কিংবা রেড জোনে প্রকাশ করব না। আদালত আমাদের যেসব শর্তে অনুমতি দিয়েছেন, তা মেনেই ইসলামাবাদে কর্মসূচি পালন করা হবে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা শুধু দেখাতে চাই, জনগণ কী চায়।’
লংমার্চ কর্মসূচি আরও আগেই করতে চেয়েছিলেন জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা ২৫ মে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছিলাম। কিন্তু তারা (সরকার) আমাদের সঙ্গে সহিংস আচরণ করেছে। আমি যদি তখন কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা না করতাম, তাহলে পরদিনই দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিত এবং রক্তপাত হতো।’
জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে গত ৯ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করেন ইমরান খান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেন। সরকারে বাধায় কর্মসূচি সহিংস রূপ নিলে মাঝপথে হঠাৎ কর্মসূচি স্থগিত করেন তিনি।