পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে ইমরানের পিটিআইয়ের বাজিমাত
পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ক্ষমতা হারানো ইমরান খান। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে বাজিমাত করেছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ফের প্রাদেশিক পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে দলটি। খবর জিও নিউজ ও ডনের।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী হামজা শাহবাজকে ভোট দেওয়ায় পিটিআইয়ের ২০ জনের আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল রোববার এসব আসনে ভোট হয়। বেসরকারি ফলাফলে ১৫টিতেই জয় পেয়েছে পিটিআই। ৪টি আসনে জয় পায় পিএমএল-এন। বাকি আসনটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, ২২ জুলাই ফের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজকে সরিয়ে এখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে পিটিআই।
সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, ৩৭১ আসনের পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে পিটিআইয়ের আসনসংখ্যা ১৭৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৮৬ আসনের প্রয়োজন হলেও চিন্তা নেই ইমরানের। কারণ, মিত্র পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) ১০টি আসন রয়েছে।
অন্যদিকে পিএমএল-এনের আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭। অবশ্য উপনির্বাচনের কয়েক দিন আগে তাঁদের দুই আইনপ্রণেতা পদত্যাগ করেছেন। ওই দুটি আসন শূন্য রয়েছে। মিত্র পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) আসন ৭টি। এই নির্বাচন আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পর দেশটিতে প্রথম কোনো নির্বাচন এটি।
এই বিজয়ে পাঞ্জাবের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছে পিটিআই। দাপ্তরিক টুইটারে দলটি বলেছে, ‘এই ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে আপনারা জানিয়ে দিয়েছেন আমরা আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন জাতি। এখন পাকিস্তানের জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই ঘটবে। আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা কোনো বিদেশি শক্তির নেই।’
এদিকে, পরাজয় মেনে নিয়েছে পিএমএল-এন। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়াম নওয়াজ বলেছেন, দলের উচিত ‘আন্তরিকভাবেই’ এই ফলাফল গ্রহণ করা। জনগণের পছন্দ মাথা পেতে নেওয়া।