ইমরানের ওপর হামলার জেরে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ
ক্রিকেটের মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে এসেছিলেন ইমরান খান। এরপর হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তবে অনাস্থা ভোটে হেরে গত এপ্রিলে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন তিনি। এর পর থেকে ক্ষমতায় ফেরার লড়াই জারি রেখেছিলেন। আগাম নির্বাচনের দাবিতে হওয়া লংমার্চে বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ হলেন তিনি। এ হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের নেতারা দাবি করেছেন, ইমরান খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলা প্রসঙ্গে ইমরানের দলের নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন।
নিহত হয়েছেন পিটিআই দলের এক সমর্থক। তিনি বলেন, পিটিআইয়ের নেতৃত্ব শেষ করে দিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইমরান খানের লংমার্চে গুলির ঘটনার পরপরই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের খবরে বলা হয়েছে, বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেখানকার বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
রাওয়ালপিন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লার বাড়ির বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছেন। সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ চলছে ফয়সালাবাদে। এখানে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিব।
বিক্ষোভ শুরু হয়েছে করাচিতে। সেখানকার শারে ফয়সাল, নর্থ নাজিমাবাদ, লন্ধি, কাউইদাবাদ, নর্থ করাচি, হাব রিভার রোড ও মাউরিপুরে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।
বিক্ষোভের খবর শোনা গেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেও। এ ছাড়া পেশোয়ারের সেনা কমান্ডারে বাড়ির বাইরেও বিক্ষোভ হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে এপ্রিলে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এর পর থেকেই তিনি অভিযোগ তুলছিলেন, বিদেশি শক্তির চাপে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আঙুল তুলেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর দিকে।
এরপর আগাম নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তানের লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান খান। এ লংমার্চ শুরুর পর থেকেই ৭০ বছর বয়সী এই নেতা বলে আসছিলেন, তাঁর লংমার্চ সরকার পতনের উদ্দেশ্যে নয়।